লকডাউনের মধ‍্যেই গজরাজের দাপট বাঁকুড়ার সারেঙ্গায়

29th April 2020 বাঁকুড়া
লকডাউনের মধ‍্যেই গজরাজের দাপট বাঁকুড়ার সারেঙ্গায়


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :   রাজপথে গজরাজের 'দাদাগিরি'র সাক্ষী থাকলেন বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের মানুষ। বুধবার সকালে বাঁকুড়ার থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা যাওয়ার রাস্তায় সারেঙ্গায় কাড়ভাঙ্গায় হাজির এক গজরাজ। সেই সময় পথ দিয়ে যাওয়া ধান বোঝাই এক লরির পথ আটকে, ধানের বস্তা নামিয়ে রাজকীয় মেজাজে প্রাতঃরাশ সারলেন তিনি। আর যা দেখতে 'লক ডাউনে'র শর্ত ভেঙ্গে হাজির হলেন অনেকেই। বনদপ্তরের নির্দেশিকা অমান্য করে অতি উৎসাহী অনেকেই আবার সেই ছবি মোবাইল ক্যামেরায় বন্দি করে রাখলেন। যদিও সেদিকে কোন ভ্রুক্ষেপ না করে উদরপূর্তিতেই মনোনিবেশ করলেন গজরাজ। সব শেষে জনতার উপস্থিতিকে তোয়াক্কা না করেই নিজের গন্তব্যে ফিরে গেলেন তিনি। হাঁফ ছেঁড়ে বাচলেন সংশ্লিষ্ট লরি চালকও।

   বনদপ্তর সূত্রে খবর, বাঁকুড়া-পশ্চিম মেদিনীপুর সীমান্তে একটি হাতি দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে। তবে এই মুহূর্তে ঐ হাতিটি মেদিনীপুর এলাকায় রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।